ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় স্বল্প পরিসরে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। এ সবজির চাহিদাও আছে স্থানীয় বাজারে। নতুন এ সবজির চাষ লাভজনক হবে বলে আশা চাষিদের। গত বছর মহেশপুর উপজেলায় ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হন এক চাষি।ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক নেওয়াজ শরীফ ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। তাইওয়ানী জাতের বীজ ব্যবহার করেছেন তিনি।
সরেজমিনে তার খেতে দেখা গেছে, গাঢ় সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম গাছে সবুজ রঙের ফল ধরেছে। নেওয়াজ শরীফ জানান, নৃবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করে করোনার কারণে বাড়িতে বসে ছিলেন। এরপর এক বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে ক্যাপসিকাম চাষের উদ্যোগ নেন। তার খেতে সাড়ে ৪ হাজার গাছ আছে। সবজি ধরতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারে পাইকারি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। বাইরেও চাহিদা আছে। রাজশাহী ও ঢাকায়ও পাঠিয়েছেন। ক্যাপসিকাম চাষে তার ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন, সাড়ে ৪ হাজার কেজি ক্যাপসিকাম হবে। এ থেকে ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আয় হবে। মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে ক্যাপসিকাম লাভজনক ফসল বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ক্যাপসিকামের আদি জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকা। সেখান থেকে ইউরোপের দেশে আসে। তারপর আসে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। আমাদের দেশে কয়েক বছর আগে এসেছে। এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ছয় থেকে সাত একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ক্যাপসিকামের চাষ শুরু হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার উপপরিচালক মো. আলি হাসান জানান, কয়েক জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছে।
পটুয়াখালীর দুমকির আঞ্চলিক উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইফতেখার মাহমুদ বলেন, সারা বিশ্বে ক্যাপসিকাম একটি জনপ্রিয় সবজি। আমাদের দেশে নতুন করে চাষ হচ্ছে। মাঠে ছাড়াও বাড়ির ছাদবাগানেও চাষ করা যায় এ সবজি।সূত্র:ইত্তেফাক